রাজধানীর শাজাহানপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জন নিহতের ঘটনায় বেশ কিছু আলামত পেয়েছে র্যাব। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘বেশকিছু মোটিভ পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী কাজ চলছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে শাহজাহানপুর এলাকায় যানজটে আটকে থাকা মাইক্রোবাসে অবস্থানরত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে পালিয়ে যায় এক দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি করার এ সময় সেই ব্যক্তির মাথায় হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পরা ছিল। গুলি করে সেই দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
এতে জাহিদুল ইসলাম টিপু ও তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (৩০) গুলিবিদ্ধ হন। এঘটনায় মাইক্রোবাসের পাশে আটকে থাকা একটি রিকশার আরোহী প্রীতি নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীও গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জাহিদুল ও প্রীতির মৃত্যু হয়। জাহিদুলের গাড়ি চালকের হাতে গুলি লেগেছে, তিনি চিকিৎসাধীন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডলি তার স্ত্রী। আর নিহত রিকশা আরোহী প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের অনার্সের ছাত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যে ব্যক্তিটি মাইক্রোবাসের জানালা দিয়ে গুলি করেছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকদূর এগিয়ে গেছি। র্যাব ছাড়াও অন্যান্য বাহিনী কাজ করছে। আমরা মনে করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার মোটিভ এবং যে হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে সে ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
/আরটি/ইউএস/