নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারস’ স্থাপন করা হয়েছে। পাঞ্জাবের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এলপিইউ) বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রামের ওপর ডিজিটাল সুবিধা, বই এবং নথিপত্রে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে এবং বুধবার চন্ডিগড় ইউনিভার্সিটিতে পৃথক অনুষ্ঠানে কর্নার উদ্বোধন করেন। একাডেমিক বিনিময়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ নয়াদিল্লি মিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে পৃথক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উপলক্ষে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর অশোক মিত্তাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ দেবে।’
হাইকমিশনার ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক এবং বঙ্গবন্ধু কর্নারের বইগুলো শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গবেষকদের জন্য দরকারি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই কর্নারটি ছাত্র, গবেষক এবং শিক্ষকদের বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে এবং বাংলাদেশকে বুঝতে সক্ষম করবে।
এর আগে বুধবার মুহাম্মদ ইমরান চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আর এস বাওয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তুলনামূলক অধ্যয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বঙ্গবন্ধু কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে।
এর আগে চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘বঙ্গবন্ধু কেন্দ্র’ স্থাপনের অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। খবর বাসস।