X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০২২, ২২:১২আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ২২:১২

২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কাছে সব ধরনের তামাক ও তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’।  এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেনর ৯৭ জন সংসদ সদস্য।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চিঠিটি (ডিও লেটার) হস্তান্তর করেন পার্লামেন্টারি ফোরামের সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। 

এসময় আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সংসদ সদস্যদের এখতিয়ার এবং বিবেচনাধীন রয়েছে। তারা সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়টি উত্থাপন করার মাধ্যমে সুপারিশ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমাদের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।'

চিঠিতে সংসদ সদস্যরা তামাকপণ্যের মূল্য স্তর চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেন। দাবিগুলো হলো— সব সিগারেট ব্র্যান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ) মূল্য স্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা, মধ্যম স্তরে ৭৩ টাকা, উচ্চ স্তরে ১২০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা এবং ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫ শতাংশ) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা ও জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০ শতাংশ) প্রচলন করা। 

চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত প্রস্তাব ও সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এসডিজির টার্গেট ৩.৪ অর্জনে- ‘২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা’র জন্য এই বাড়তি রাজস্ব ব্যয় করা যাবে। নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্য বেশি বাড়ালে নিম্ন আয়ের সিগারেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা করা যাবে। তাদের আয়ের প্রায় ২১ শতাংশ ব্যয় হয় তামাক পণ্যের পেছনে। এই অর্থ তামাক পণ্যের পরিবর্তে শিক্ষায় ব্যয় করলে, তাদের সন্তানদের পড়ালেখার মোট ব্যয় ১১ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস (রিলেটিভ রিডাকশান) পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন। ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস ২০১৭)। তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বে মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই
তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা