X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলেদের আর্থিক সহায়তার সুপারিশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫৩আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১৭

জেলেদের নির্ভুল তালিকা তৈরি, পরিচয়পত্র দেওয়া এবং মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে রেশনিংয়ের পরিমাণ বাড়ানোরও সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা ও কিছু সুপারিশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সুপারিশ করেন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জেলে বাস করে এমন এলাকার মোট ৮ হাজার ৬৪৪টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এসব পরিবারে মোট সদস্য ৪২ হাজার ৮৯৬ জন। ৯৯ শতাংশ পরিবারই শুধুমাত্র মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল। ২২০ জন কিশোর জেলে পেশায় নিয়োজিত। অথচ এই পেশাকে এখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুশ্রম বা শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়নি।’

শেখ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জরিপে দেখা যায়, জেলেদের মধ্যে মাত্র ৪২ শতাংশ জেলে কার্ডধারী। ২০২০ সালে তালিকা হালনাগাদ করার সময় অনেকে সাগরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকায় তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা যায়নি। অপরদিকে, জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকবলের সংকট থাকায় তাদের হালনাগাদ করার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারের বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা নিতে হয়। এতে করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জেলে না হলেও অনেকের নাম জেলে তালিকাভুক্ত হয়। আবার অনেক প্রকৃত মৎস্য শ্রমিকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়।’

মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা অর্থসংকটে ভোগেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ৪৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি জাল বোনা বা মেরামত, কৃষিকাজ, লুকিয়ে মাছ ধরা, শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে সংসারের ব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করেন।’

গবেষণায় বলা হয়, ‘সরকারের বরাদ্দকৃত চাল জেলেরা সঠিক পরিমাণে পায় না। যা পায় তাও তাদের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট না। ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় আর্থিক সংকটে দিনযাপন করেন। পাথরঘাটায় ৬৬ শতাংশ এবং কুতুবজোমে ৮১ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক আর্থিক সংকটে পড়েন। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক উচ্চ সুদে এবং ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ বিনা সুদে টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হন।’

আলোচনা সভার সভাপতি প্রকল্প পরিচালক বণশ্রী মিত্র মিয়াজি বলেন, ‘একটা পরিবারে অন্তত মাসে ৫ হাজার টাকা ও ৬০ কেজি চাল প্রয়োজন হয়। যদি এটা বাস্তবায়ন করা হয়, তবেই জেলেরা একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– শ্রমিক ফেডারেশনের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন জেলে সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

 

/জেডএ/আরকে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা