X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দায় নিচ্ছেন না দায়িত্বশীলরা, সচেতন থাকার পরামর্শ পথচারীদের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ অক্টোবর ২০২২, ২০:৪৯আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৪

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। প্রত্যেকে তার স্বার্থ থেকে বের হতে চাচ্ছে না। বরং সড়কের বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের জন্য নিজেদের দায় এড়িয়ে সড়ক ব্যবহারকারীদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সড়ক ও জনপদের দায়িত্বশীলরা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) একাত্তর টিভি আয়োজিত ও সম্প্রচারিত এডিটরস গিল্ড গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকদের কথায় এসব বিষয় উঠে আসে। বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।

গোলটেবিল বৈঠকে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে, এই কথাটা ঠিক না; আমাদের দেশের সড়কে শৃঙ্খলা কখনও ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা এখনও রয়ে গেছে। ক্রমেই তা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। কারণ, আমাদের দেশে সড়কের ব্যবস্থাটা শুরু হয়েছিল অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে। সেই কাঠামোর মধ্যে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছিল। সেই গোষ্ঠী কোনোভাবে আরও স্বার্থবাদী হয়ে গেছে। এ কারণে তারা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের নিয়ম হলো যত বেশি অব্যবস্থাপনা থাকবে, নৈরাজ্য থাকবে; তত বেশি চাঁদাবাজি করা যায়, দুর্নীতি করা যায়। তাই তারা সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিলেন, তা আলোর মুখ দেখেনি। যারা বাস্তবায়ন করবে, তারা ফাইলই ওপেন করেনি।’

স্বার্থবাদী গোষ্ঠী আরও স্বার্থবাদী হয়ে উঠছে, এ কথার সঙ্গে একমত না হয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘কারণ, এখানে প্রত্যেকের ব্যাপার। এখানে স্বার্থবাদী গোষ্ঠী প্রত্যেকেই। সবাই নিজের স্বার্থটা দেখে। এটাকে মেজর না দেখে কালেকটিভ একটা এফোর্ট এখানে থাকতে হবে। প্রত্যেককেই সমানভাবে এগিয়ে যেতে হবে, সামাজিক আন্দোলনে যোগ দিতে হবে।’

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন পূর্ণাঙ্গভাবে হয়েছে কি না, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটা আইন সংসদে পাস হওয়ার পর এটা কার্যকর করার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর এটা কার্যকর হয়েছে। এখন কার্যকরের বিষয়টার পর প্রয়োগের বিষয় রয়েছে। যারা আইন মানবে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একটা বিষয় রয়েছে। যে আইন দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর, সেটা সবাইকে মানতে হবে। আইন মানার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ লোক আইনের বিপক্ষে থাকি, তাহলে সীমিত প্রয়োগ দিয়ে বাস্তবায়ন করা কঠিন।’

২০১৮ সালে প্রণিত সড়ক পরিবহন আইন ১৯৮৪ সালের বিধিমালায় পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ মো. হুমায়ন রশীদ খলিফা বলেন, ‘আইন যেদিন পাস হয়, সেদিন থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। এ জন্য আলাদা অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। তবে এর প্রয়োগ করতে গেলে কিছু বিধিবিধান তৈরি করতে হয়। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর বিধি এখনও তৈরি হয়নি। অথচ আইন প্রয়োগ হচ্ছে। এ কারণে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি হয়ে আছে। আইন প্রয়োগ হচ্ছে ২০১৮-এর, আর বিধিমালা হচ্ছে ১৯৮৪ সালের। ১৯৮৪ সালের বিধিমালায় যেভাবে বলা হচ্ছে, ওইভাবে কার্যকর হবে। আর যার বিধি দরকার নেই, সেটা এর মতো চলতে থাকবে।’

তিনি সড়ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সব সড়ক ব্যবহারকারীকে একমত হতে হবে যে আমরা সবাই আইন মেনে চলবো। যে কারণেই হোক এখন আমরা এই ব্যাপারে একমত হতে পারছি না। কী কারণ, সেটার অনুসন্ধানও আমরা ভালো করে করিনি এখনও।’

সড়কের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনায় শুধু একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দায়িত্বরতদের দোষারোপ করলে হবে না জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘এটা একটা যৌথ কাজ। এর সঙ্গে যুক্ত পথচারীসহ অন্যদের এই সচেতনতা থাকা দরকার। আমার মনে হয় সেই সচেতনতা নিয়ে কেউই চলছি না। এ কারণেই বিশৃঙ্খলা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে।’

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রভাবশালীদের বাধা রয়েছে মন্তব্য করে সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘এখানে সব ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল জড়িত। এখানে রাজনীতিবিদ বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বলেন অথবা অন্য যে কেউ বলেন। প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে এর থেকে লাভবান হচ্ছে। যে কারণে বাস্তবায়ন করতে আমরা একটা সমস্যার সম্মুখীন হই। এখানে অনেকের জনপ্রিয়তা হারানোর ভয় রয়েছে। অনেক ভালো কাজেও অজনপ্রিয় হয়ে যেতে হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এ জন্য অনেকেই পিছিয়ে আসার বা চুপ থাকার অবস্থান নেন। সেই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করার সময় এসেছে আমাদের।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনর সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘আইন মানতে চাইলেও আইন মানার সুযোগ নেই। আইন মানবো কী করে? যারা আইনপ্রণেতা, তারাই তো আইন বাস্তবায়ন করেন না। দক্ষ করার জন্য সরকার পরিবহনশ্রমিকদের পেছনে এক টাকাও ব্যয় করে না। অথচ এরা দেশের সেবার সঙ্গে যুক্ত।’

পুলিশ বিভিন্ন কারণে মামলা দিলেও সড়কে চালকদের সচেতনা বাড়ে। কিন্তু এমন কিছু কারণে মামলা দেয় না, ফলে চালকদের মাঝে অসেচনতা থেকেই যায়। এমনটা মনে করে এই শ্রমিকনেতা বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সবাই এককভাবে পরিবহনশ্রমিকদের দায়ী করে। অন্যরা দায় এড়িয়ে যায়। অথচ ১০০টা দুর্ঘটনার মধ্যে ২০ থেকে ২৫টার জন্য শ্রমিকরা দায়ী থাকেন। পুলিশ বিভিন্ন কারণে মামলা দেয় না। সিটবেল্টের জন্য কি একটাও মামলা দিয়েছে পুলিশ? নিয়োগপত্রের জন্য কি মামলা করছে পুলিশ?’

সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে বাসমালিকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যানচালকরা বেতনভিত্তিক কাজ করেন। কিন্তু ঢাকায় চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি চলে সেই আদিকাল থেকেই। একেক দিন একেক চালক গাড়িটি পায়। যে চালক বেশি টাকা জমা দেবে, সে-ই পরদিন গাড়িটি পাবে। এ ক্ষেত্রে মালিকরা চালকের লাইসেন্সটা দেখেন না ঠিকমতো, বরং টাকাটাই বড় করে দেখেন। এর পেছনে কারণ হলো মালিক ব্যাংকঋণ করে একটি বাস রাস্তায় নামান।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা একটা প্রতিশ্রুতি করেছিলাম চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা রাখবো না। কিন্তু কোনও চালকই মাসিক চুক্তিতে থাকতে চায় না। আবার মাসিক চুক্তিতে গেলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, তা-ও না। নিয়োগপত্র নিয়েও অনেক ক্ষেত্রে চালকরা অন্যের গাড়ি চালানোর জন্য চলে যাবে। তারা এক জায়গায় থাকতে চায় না।’

রাঙ্গা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনর সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য আমি তাদের বলেছি কিন্তু তাদের কিছু বিষয় আছে চাইলেই দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে জানি তিনি কিছু বলবেন না কারণ তার শ্রমিকদের স্বার্থে। আবার আমিও কিছু বললে আমার বাসমালিকরা আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলবে।’

সড়ক ঠিক রাখতে শুধু পরিবহন মালিক শ্রমিকদের দায় দিলে হবে না, জনগণকেও তাদের দায়দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে বলে জানান এই সভাপতি।

জনগণকে সচেতন না করে দায় দিলে সে দায় নিতে নারাজি জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের নিরাপদ সড়ক দিবসের পতিপাদ্য ছিল ‘আইন মেনে সড়ক চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’। দিবসটিকে ঘিরে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০ লাখ টাকা বাজেট করেছে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙানোর জন্য। কিন্তু ব্যানারগুলোয় কোথায় কী অমান্য করলে কী সাজা হবে, তা থাকলে ভালো হতো না? একটা আইন পাস করে নিজের কাছে রেখে দিলেন, জনগণকে দেখালেন না, জানার সুযোগ দিলেন না; তাহলে তো আমাকে দায় দিলে আমি সেই দায় নেবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন হয়েছে, জরিমানাও হচ্ছে; কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। এর কারণ সড়কে শৃঙ্খলা আনতে আমাদের সড়কের সব যানের সমন্বয়ে যে পদ্ধতিগত সমাধান রয়েছে, সেই সমাধান নিয়ে কেউ ভাবছে না। গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে সড়ককে আরও নিরাপদ আরও শৃঙ্খল করা যায়, সেটাই হচ্ছে না।’

নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘সড়কের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কারণ প্রত্যেকে তার স্বার্থ থেকে বের হতে চাচ্ছে না। সেটা মালিকপক্ষ হোক বা শ্রমিকপক্ষ হোক; যাত্রীরা হোক বা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হোক। সমন্বয় তো নেই, বরং প্রত্যেকে তার নিজস্ব জায়গা থেকে কথা বলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আইনটির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি প্রত্যেকের দায় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। আইনটি পাস করার পর ২০১৯ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী ৫টি বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে একটি হলো সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক। এটি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রতিটি সংগঠনকে। কিন্তু কেউই সিটবেল্ট না বাঁধার দায় নিচ্ছে না। আবার ২০২১ সালে আইনটি সংশোধন করা হলো শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির মুখে। ২১৬টি ধারার মধ্যে ২৯টি ধারা শিথিল করা হয়েছে। এবং এগুলো গোপনে হয়েছে। এর সবই পরিবহনশ্রমিকদের সাজা কমিয়ে দেওয়ার জন্য। এই যে আমি ও আমার গোষ্ঠীতত্ত্ব, এটাই মূল বাধা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার যে বাসমালিকরা রয়েছেন, তারা সমিতির কথা শোনেন না। একজনও না। ঢাকার বাসগুলোর মালিকরা কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তাদের অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অথবা ‘রাজনৈতিক মাস্তান’। এ জন্যই তারা সমিতির কোনও নিয়মকানুন মানেন না। কিন্তু তারা তা প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না। এই না মানার পেছনে দায় বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশের। সরকার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা দিয়েছে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটিকে। তাকে কেউ দু পয়সারও দাম দেয় না।’

এ সময় নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।

/জেডএ/এনএআর/
সম্পর্কিত
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা