X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে সংবিধান পেলো বাংলাদেশ

এমরান হোসাইন শেখ
০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৪:০০আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৪:০২

সংবিধান রচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করা হয়। এরপর ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সবাই এর সদস্য ছিলেন। তবে নির্বাচিতদের মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী দল থেকে বহিষ্কৃতরা এ পরিষদের সদস্য ছিলেন না। সব মিলিয়ে গণপরিষদে সদস্য ছিলেন ৪০৩ জন।

মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে শাহ আবদুল হামিদ স্পিকার ও মোহাম্মদ উল্লাহ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। পরে অবশ্য ওই বছরের ২ মে শাহ আবদুল হামিদ মারা গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ স্পিকার নির্বাচিত হন।

গণপরিষদ অধিবেশনের পরদিন ১১ এপ্রিল গণপরিষদে খসড়া সংবিধান-প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। সরকারের আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে (ঢাকা-৯, জাতীয় পরিষদ) আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-  মো. লুৎফর রহমান (রংপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (সর্বকনিষ্ঠ সদস্য)(পাবনা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম আবদুর রহিম (দিনাজপুর-৭, প্রাদেশিক পরিষদ), এম আমীর-উল ইসলাম (কুষ্টিয়া-১, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (বাকেরগঞ্জ-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মুনতাকীম চৌধুরী (সিলেট-৫, জাতীয় পরিষদ), ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র (বাকেরগঞ্জ-১৫, প্রাদেশিক পরিষদ), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (সিলেট-২, প্রাদেশিক পরিষদ), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ময়মনসিংহ-১৭, জাতীয় পরিষদ), তাজউদ্দীন আহমদ (ঢাকা-৫, জাতীয় পরিষদ), খন্দকার মোশতাক আহমেদ (কুমিল্লা-৮, জাতীয় পরিষদ), এ এইচ এম কামারুজ্জামান (রাজশাহী-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন তালুকদার (পাবনা-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রউফ (রংপুর-১১, ডোমার, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (রাজশাহী-৩, জাতীয় পরিষদ), বাদল রশীদ, বার অ্যাট ল, খন্দকার আবদুল হাফিজ (যশোর-৭, জাতীয় পরিষদ), শওকত আলী খান (টাঙ্গাইল-২, জাতীয় পরিষদ), মো. হুমায়ুন খালিদ, আছাদুজ্জামান খান (যশোর-১০, প্রাদেশিক পরিষদ), এ কে মোশাররফ হোসেন আখন্দ (ময়মনসিংহ-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন, শামসুদ্দিন মোল্লা (ফরিদপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), শেখ আবদুর রহমান (খুলনা-২, প্রাদেশিক পরিষদ), ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক খোরশেদ আলম (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম. মোজাফফর আলী (জাতীয় পরিষদ হোমনা-দাউদকান্দি), অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (কুমিল্লা-৪, জাতীয় পরিষদ), দেওয়ান আবু আব্বাছ (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), হাফেজ হাবিবুর রহমান (কুমিল্লা-১২, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রশিদ (নোয়াখালী-১, জাতীয় পরিষদ), নুরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ খালেদ (চট্টগ্রাম-৫, জাতীয় পরিষদ) ও বেগম রাজিয়া বানু (নারী আসন, জাতীয় পরিষদ)।

রাজিয়া বাণু ছিলেন একমাত্র মহিলা সদস্য, আর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন বিরোধী দলীয় একমাত্র সদস্য, তিনি তখন ছিলেন মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে।

সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল ১৭ এপ্রিল। একাদিক্রমে তা চলে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১০ থেকে ২৫ মে, ৩ জুন থেকে ১০ জুন, ১০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর, মোট ৮৫ দিন। তৃতীয় দফার বৈঠকে অর্থাৎ ১০ জুনে সংবিধানের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া অনুমোদিত হয়। পূর্ণাঙ্গ মানে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে পূর্ণাঙ্গ। তারপরে বাকি রয়ে যায় ইংরেজি ভাষ্যের আইনি দিক এবং বাংলা ভাষ্যের ভাষাগত দিকের উন্নতিসাধন।

সংবিধান প্রণয়নের সময় জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।

গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি।

সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেওয়া হয়। এ কমিটি ৩ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ১১টি বৈঠক করে বাংলা পাঠ সম্পর্কে এই কমিটি সুপারিশ প্রদান করে ১৯ আগস্টে।

 ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন।

এদিন খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদের সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। সংবিধান বিল উত্থাপন প্রসঙ্গে ভাষণ দেন ড. কামাল হোসেন।

গণপরিষদের অধিবেশনে বিল-আকারে খসড়া সংবিধান উপস্থাপনের পাশাপাশি ১২ অক্টোবর সংবিধান-প্রণয়ন কমিটির রিপোর্টও পেশ করা হয়। এতে কমিটির ৬ জন সদস্যের ভিন্নমতসূচক মন্তব্য যুক্ত হয়। এদের মধ্যে আ ক মোশাররফ হোসেন আকন্দ সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে ‘সর্বশক্তিমান পরম করুণাময় ও দয়াময়ের নামে’ কথাগুলো যুক্ত করার প্রস্তাব করেন। ৪২ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে তিনি আপত্তি করেন এবং ৭০ অনুচ্ছেদ বর্জন করতে চান। ৪২ ও ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপত্তি করেন আছাদুজ্জামান খান। ৭০ অনুচ্ছেদের আরও বিরোধিতা করেন আবদুল মুন্তাকীম চৌধুরী ও হাফেজ হাবিবুর রহমান।

ক্ষিতীশচন্দ্র মণ্ডল তফসিলি সম্প্রদায়, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির নাগরিকদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উন্নতিবিধানের ব্যবস্থা সন্নিবেশ করতে চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিতে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রায় পুরো সংবিধান সম্পর্কেই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। খসড়া সংবিধানের ওপর আলোচনাকালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদের বৈঠক থেকে ওয়াকআউটও করেছিলেন।

সংবিধান-বিলে সংশোধনীর প্রস্তাব আসে ১৩৪টি, তার মধ্যে আওয়ামী লীগ-দলীয় এমপিদের ৬০টি এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একটি সংশোধনী গৃহীত হয়। ৭০ অনুচ্ছেদ শেষ পর্যন্ত সংশোধিত হয়। খসড়ায় যেখানে বলা হয়েছিল যে, দল থেকে পদত্যাগ করলে কিংবা বহিষ্কৃত হলে সেই দলের মনোনয়ন লাভকারী সংসদ-সদস্য সংসদে তাঁর সদস্যপদ হারাবেন, সেখানে সংশোধিত অনুচ্ছেদে বলা হলো, দল থেকে পদত্যাগ করলে বা দলের বিপক্ষে ভোট দিলে তিনি সদস্যপদ হারাবেন।

সংসদে সংবিধান বিল উত্থাপনের পর ১৯ অক্টোবর থেকে এর উপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিন আলোচনা   হয়। ৩১ অক্টোবর এবং ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংবিধান বিল বিবেচনার জন্য সংসদে এর দফাওয়ারি নিষ্পত্তি হয়। সংবিধান পাশের দিনও অসমাপ্ত দফাগুলো নিষ্পত্তি হয়।

পড়ে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন সংবিধান বিল বিবেচনার জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। এর বিরোধিতা করে সংসদে বক্তব্য দেন ন্যাপের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও নির্দলীয় মানবেন্দ্র নারায়ণ চাকমা। তাদের বক্তব্যের জবাব দেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আইনমন্ত্রীও কথা বলেন। পরে সংবিধান বিল দফাওয়ারি ভোটে দেওয়া হয়। সংবিধান বিল দফাভিত্তিক নিষ্পত্তি শেষে সংসদ নেতা হন বঙ্গবন্ধু। তিনি খুবই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ এক মহান শপথ গ্রহণ করেছে যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। আজকে সারা জাতি এই শপথ গ্রহণ করেছে এই গণপরিষদে। জনগণের দেওয়া দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনের জন্য তিনি মহান আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা করেন। আশা প্রকাশ করেন এই সংবিধানের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ বাস্তবায়িত হবে।

পরে সংবিধান বিল ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। সংবিধান বিল পাসের শেষে মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ মোনাজাত করেন। পরে স্পিকার মোহাম্মদ উল্লাহ সংসদের বৈঠক ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের হাতের লেখা কপির উপর সইয়ের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম সই করেন। দুই দিনব্যাপী এ সই অনুষ্ঠানে একে একে ৪০৩ জন গণপরিষদ সদস্যের মধ্যে ৩৯৯ জন সই করেন। মানবেন্দ্র নারায়ণ চাকমা (পি.ই. ২৯৯), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (পি.ই. ২২১), আজিজার রহমান (পি.ই. ২২) ও এম ইব্রাহিম (পি.ই. ৮২) সই দানে বিরত থাকেন।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) সংবিধান থেকে কার্যকর হয়।

সংবিধান ছাপাতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। সংবিধান অলংকরণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল যার প্রধান ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী জনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী ও হাশেম খান। শিল্পী হাশেম খান অলংকরণ করেছিলেন। প্রথম হস্তলিখিত সংবিধানটি ছিল ৯৩ পাতার, সইসহ যা ছিল ১০৮ পাতা। সংবিধানে হস্তলিখনের কাজটি করেন আবদুর রউফ। ১৯৪৮ সালে তৈরি ক্র্যাবটি ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপা হয়।

সংবিধান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।

আরও পড়ুন:
নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার কতটা সুরক্ষিত?
জাতীয় সংবিধান দিবস আজ

/এমএস/
সম্পর্কিত
নির্বাচন, শপথ ও মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভ্রান্ত ধারণা: অ্যাটর্নি জেনারেল
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি ১৮ জানুয়ারি
‘এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন হতে পারে, সংবিধানে কোনও বাধা নেই’
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ ২ জন নিহত
মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ ২ জন নিহত
শিক্ষাবিদ প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শিক্ষাবিদ প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ