X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তার জরুরি মুহূর্তের মহড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪২আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪২

বেলা ১০টা ৪৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাওয়ারে একটি বার্তা এসেছে। সৈয়দপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আসছে এবং ওই ফ্লাইটে আছে বোমাজাতীয় কোনও কিছু। বার্তা পেয়েই জরুরি মুহূর্ত মোকাবিলায় নেমে পড়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এর নিরাপত্তায় থাকা সংশ্লিষ্টরা।

শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রথমে উড়োজাহাজটিকে রানওয়ের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। এরপর থ্রেড অ্যাসেসমেন্ট কমিটির সভা, সংশ্লিষ্টদের অবহিতকরণ ও নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে একে একে সব যাত্রীকে উড়োজাহাজ থেকে নামানো হয়। এ সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয় এবং উড়োজাহাজটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বোমাসদৃশ বস্তুটি। সব মিলিয়ে বিমানবন্দরে বোমার হুমকি পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এভাবেই শাহজালাল বিমানবন্দরে হয়ে গেলো জরুরি মুহূর্তের প্রস্তুতি মহড়া। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত এ মহড়ায় অংশ নেয় বিমানবন্দরে নিরাপত্তার কাজ করা প্রত্যেকটি সংস্থা।

মহড়ায় অংশ নেয় অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াডসহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর প্রায় ৪ শতাধিক সদস্য।

এই মহড়া অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে যে কোনও জরুরি মুহূর্ত মোকাবিলা করতে অংশীজনদের প্রস্তুতি আছে। তবে সে প্রস্তুতি হালনাগাদ রাখতে প্রশিক্ষণ ও মহড়া প্রয়োজন। মহড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৫০ মিনিটের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পন্ন করেছে। দ্রুততার সঙ্গে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

এম মফিদুর রহমান বলেন, আইকাও-এর ১৮ ধারায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি আছে। এটা বাস্তবায়ন করা না গেলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শাহজালাল বিমানবন্দর স্বীকৃত হবে না। তাই জরুরি মুহূর্তে কী করণীয় তা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টদের মহড়ার মাধ্যমে নিয়মিত অবহিত করতে হবে।

এ মহড়ার নেতৃত্ব দেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম। মহড়াস্থলে অন সিন কমান্ডারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ডেপুটি অন সিন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির পরিচালক উইং কমান্ডার শাহেদ আহমেদ খান।

অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলাম বলেন, 'ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনর (আইকাও) এনেক্স-১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিমানবন্দরে হাইজ্যাক, অগ্নিনিরাপত্তা, বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা প্রমাণে প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরণের মহড়া আয়োজন করা হয়। মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল সময় পর্যবেক্ষণ করা। প্রত্যেক সংস্থার সমন্বয় ঠিক আছে কিনা সেটি দেখা। সংস্থাগুলো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা আমরা সেটি দেখেছি।'

/সিএ/এমএস/
সম্পর্কিত
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট আসার ব্যাখ্যা দিলো বেবিচক
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা