ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড ২০২২-২৩ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা করা হয়েছে। অ্যাওয়ার্ডের বিচারক প্যানেল চারটি বিভাগে বিজয়ী নির্বাচন করেন; বিভাগগুলো হলো—সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড, কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ড, সোশ্যাল অ্যাকশন ওয়ার্ড এবং বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড। নবম বছরে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ থেকে যুক্তরাজ্যের ১২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইরা আবেদন করেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও কমিউনিটি লিডার হিসেবে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়।
এতে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যারা নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রেখেছেন তাদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের অ্যালামনাই আরিক আনাম খান কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি পুরস্কার পেয়েছেন। সোশ্যাল অ্যাকশন পুরস্কার পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কাজী হাসান রবিন। ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. সামিউল মাহমুদ পেয়েছেন বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন পুরস্কার। সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি পুরস্কার পেয়েছেন ড. সাকিব আমিন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, “যারা যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছেন এবং দেশে ফিরে এসে বিজ্ঞান, ব্যবসা, সুশীল সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছেন তাদেরকে এ পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। নির্বাচিত চার ফাইনালিস্টকে অভিনন্দন এবং যেসব অ্যালামনাই এ অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।