X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাটির গর্ত থেকে আধাপাকা ঘরে জুলেখা

সাদ্দিফ অভি, গাজীপুর থেকে
২১ মার্চ ২০২৩, ২২:৫৩আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ০১:২০

‘গাথার ভিতরে থাকতাম, বর্ষাকালে পানিতে ডুইবা থাকতো ঘর। এখন টিনের চালের নিচে আধাপাকা ঘরে বাচ্চা নিয়া থাকি। আল্লাহ চাইসেন তাই পাইসি, কপালে ছিল কিনা জানি না। কোনো দিন কল্পনাও করি নাই নিজের একটা ঘর হইবো।’

চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী জুলেখা।

বুধবার (২১ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করবেন। তখন সবার সঙ্গে উপহারের এই ঘর পাবেন জুলেখা।

দেশের তিনটি উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হচ্ছে। গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলায় নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

জুলেখার ঘরে বাবা-মাসহ পাঁচ জনের বসবাস। তবে কারোরই তেমন আয়রোজগার নেই। অন্যের জায়গায় কোনোমতে একটি গর্ত করে একটি ঘর বানিয়ে সেখানে থাকেন তিনি। তবে এবার রমজান মাস আর ঈদুল ফিতর নতুন ঘরে করবেন ভেবে আনন্দ হচ্ছে তার।

জুলেখা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। মাথার ওপর ছাদ হইসে, এখন কষ্ট কইরা হলেও একটা কাজ পাইলে সংসার চলতো।’

ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়; যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত মুজিববর্ষে প্রথম পর্যায়ের ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর, ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৯টি।

১৯৯৭ সাল থেকে এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা সংস্থাসহ গৃহ নির্মাণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়েছে ৭ লাখ ৭১ লাখ ৩০১টি পরিবারকে। প্রতি পরিবারের পাঁচ জন সদস্য হিসেবে মোট উপকারভোগী ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি হস্তান্তর হয়েছে গত বছরের ২৬ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ জুলাই জমির মালিকানাসহ ২৬ হাজার ২২৯টি হস্তান্তর করা হয়। বুধবার চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তর হচ্ছে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর।

প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতী ও চতুর্থ পর্যায়সহ মোট হস্তান্তরিত একক ঘরের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি। চতুর্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ২২ হাজার ৬টি। চতুর্থ পর্যায়ে চরাঞ্চলে বরাদ্দ করা বিশেষ ডিজাইনের ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৩টি এবং পার্বত্যাঞ্চলের বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ৬৩৪টি।

এখন পর্যন্ত ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারা দেশের মোট ১৫৯টি উপজেলা।

/এসও/এনএআর/
সম্পর্কিত
সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সর্বশেষ খবর
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ