আগামীকাল উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মুহূর্তে যারা রাজধানী ছাড়ার পরিকল্পনা করে অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তারাই রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে নির্ধারিত বাসে চেপে বসছেন। এ ছাড়া সরাসরি যারা কাউন্টারে আসছেন, তারাও টিকিট পাচ্ছেন। দীর্ঘ ছুটি হওয়ার কারণে ভেঙে ভেঙে মানুষ ঢাকা ছাড়ায় শেষ মুহূর্তে নেই কোনও ভিড়। তবে যাত্রী কম থাকায় বাস ছাড়তে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাতে সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করছেন। আবার মহাসড়কে আজ তেমন যানজট না থাকায় গাড়ি আসতে কোনও সময় ক্ষেপণ হচ্ছে না। ফলে অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া যারা অগ্রিম টিকিট কাটেননি, তারা বাস কাউন্টারগুলোয় গিয়ে টিকিট কাটছেন। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি ‘ঈদ বকশিশ’ দাবি করছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ছুটি দীর্ঘ হওয়ার কারণে মানুষ আগেই চলে গেছে। অগ্রিম যারা টিকিট কেটেছিলেন, আজ নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাসে চড়ে গাবতলী ছেড়েছেন তারা। এ বছর সড়কে তেমন যানজট না হওয়ায় গাড়ি আসা-যাওয়া করতেও সময় অনেক কম লেগেছে। ফলে যাত্রী ভোগান্তিও কম হয়েছে।
সংকটে আছেন উল্লেখ করে ইসলাম পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আমজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর গাবতলী দিয়ে মানুষ অনেক কম যাচ্ছে। সে কারণে আমরা জাতীয় সংকটে আছি। তবে আগে থেকে যারা টিকিট কেটেছেন, তারা এখন থেকে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এখন যারা যেতে চাচ্ছেন, তারাও যেতে পারছেন প্রতিটি বাসেই বেশ কয়েকটি সিট খালি রয়েছে। জাতীয় অপেক্ষার পর নির্ধারিত সময়ে বাসগুলো ছাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী হিমেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আগে টিকিট কাটিনি কাউন্টারে এসে টিকিট পেয়েছি, এখন একটু পর বাসে গিয়ে উঠবো। এত ফাঁকা পাবো চিন্তা করিনি।
সাতক্ষীরাগামী যাত্রী নুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগে থেকে টিকিট কাটিনি আমরা। এসে টিকিট পেয়েছি। বলেছে কিছুক্ষণের মধ্যে ছাড়বে। আমরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এ বছর দেখতে পাচ্ছি যাত্রী কম।
গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীসেবার বিষয়টি দেখভাল করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর পক্ষ থেকে ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে।
বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের যেকোনও অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রয়েছি। যারাই আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন, আমরা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।