অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ ৷তাদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি ও ৪ জন রোহিঙ্গা। গত ১৫ জুন গভীর রাতে ওই রাজ্যের উত্তর জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ পরে তাদের স্থানীয় কদমতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দালাল মারফত অবৈধভাবে ভারতে আসে ৷ তাদের দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ৷ সেই উদ্দেশে অসমের করিমগঞ্জের দিকে তিনটি গাড়িতে রওনা দেয় ৷ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ ৷ কদমতলা থানা ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার মধ্যে পড়ছে ৷
ধর্মনগরের এসডিপিও দেবাশিস সাহা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কৈলাশহর এলাকার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের দিকে প্রবেশ করে তারা ৷ দালাল মারফত এপারে আসায় স্বাভাবিকভাবে তাদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না ৷ সেই কারণেই তাদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত রহমান আলি (৩০), জানানতারা (১৯), খালেদা বেগম (১৯) বাংলাদেশের নাগরিক ৷ তাদের সঙ্গে এক নাবালিকাও রয়েছে ৷ তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ৷ এছাড়া বাংলাদেশের বাকি তিন জন হলেন-করিমা বেগম (২৮), আব্বাস হাওলাদার (৩৫) ও আল হাফিজ (১৮) ৷ তাদের বাড়ি বরিশাল। এছাড়া চার রোহিঙ্গা হলেন-মহম্মদ আলম সা (২০), কুমাইর বিবি (১৮), ফরিদা বেগম (১৮) ও শাফেলা বেগম (১৮) ৷
যে তিন ভারতীয় দালাল অবৈধভাবে ওই ১১ জনকে সীমান্তের এপারে এনেছিলেন তাদেরও চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ তাদের নাম-আব্দুল ফাট্টা খান, ছায়েদ আলি ও মাতশির আলি ৷ তারা ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার ভগবাননগরের বাসিন্দা ৷ তারা মূলত গাড়ির চালকের কাজ করেন ৷ তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷