মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন ২০২০ আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫টি, সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬টি করেছে। বহুমুখী এসব কার্যক্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন কমেছে।
বুধবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব্রেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও ডিএনএ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবেদা আক্তার, ডিএনএ অধিদফতরের পরিচালক সুফিয়া নাজিম, হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহানা আক্তার ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অংসুই প্রু মারমা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং সাতটি বিভাগ এবং ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনঃসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং আটটি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ন্যাশনাল হটলাইন ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং ওসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।