বান্দরবানে নয়নাভিরাম ৫৭ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি (শোওয়ে রেদানাহ বুং ক্যং দঃগ্রী) বিহারের বুদ্ধ অভিষেক ও বিহারাধ্যক্ষ ফাং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২২ জুলাই) বান্দরবান সদরের লাল মোহন বাহাদুর বাগান এলাকায় নয়নাভিরাম বৌদ্ধবিহারটির অভিষেক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহারের জায়গাটি দান করেন মন্ত্রী।
প্রধান সড়কের পাশে সড়ক থেকে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণাধীন এই গোল্ডেন বৌদ্ধ ইতোমধ্যে নির্মাণ হয়েছে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের কারুকাজের আদলে। এটি ৫৭ ফুট উচ্চতার দণ্ডায়মান বৌদ্ধমূর্তি। বিহারে মূর্তির পাশে রয়েছে একটি সুদৃশ্য গেট, দুটি সিংহ, দুটি ড্রাগন, দুটি হাতি, একটি প্যাগোডা, একটি ফোয়ারা আর একটি আকর্ষণীয় আসন’সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বিহারে বুদ্ধ অভিষেক ও বিহারাধ্যক্ষ ফাং অনুষ্ঠানে শীল ও দেশনা প্রদান করেন, কুশুয়া মুখপাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত কিট্রিমা মহাথের, উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ড. সুবন্নলংকারা মহাথের, গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উইরাচারা থেরসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষরা।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি (শোওয়ে রেদানাহ বুং ক্যং দঃগ্রী) বৌদ্ধ বিহারের জমিসহ ক্যাং দাতা, পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশৈ প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংশৈ প্রু চৌধুরী, রাজপুত্র মংওয়ে প্রু, পার্বত্য মন্ত্রীর সহধর্মিনী মেহ্লা প্রু-সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকারা। পরে বুদ্ধ শাসনং চিরাই তিধ্ধাতু তিনবার বলে রক্ত বৃষ্টি বর্ষণ, ধ্বজা উত্তোলন ও শান্তির পায়রা কবুতর উন্মুক্ত করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং স্থানীয় দানবীরদের অনুদান, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় এই গোল্ডেন বৌদ্ধ বিহারের কাজ শেষ করা হয়। উন্মুক্ত হওয়ার পর এই বৌদ্ধ মূর্তি দেখতে পূজারিদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও ঢল নামবে বলে মনে করা হয়।
গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহার পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মংহ্লা জানান, এই বিহার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি তীর্থস্থান। পার্বত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পূজারিরা এখানে ছুটে আসবে।