দেশের ১১টি জেলার ১১ জন নারীকে প্রশিক্ষণ শেষে ড্রাইভিং সনদ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে তাদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।
গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৬ মাস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রাম। প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী চালকদের হাতে সনদ তুলে দিয়ে আশার কথা শোনালেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
বক্তারা বললেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় নারী চালকের পদগুলোতে আবেদন করার মতো প্রার্থী পাওয়া যায় না। মেয়েদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে পরে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। মেয়েরা শান্ত স্বভাবের হওয়ায় ঠাণ্ডা মাথায় গাড়ি চালাবে, তাতে দুর্ঘটনাও কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, 'মেয়েরা এক সময় ড্রাইভিং পেশায় আসতে লজ্জা পেতো। তারা নার্সিংয়ের মতো পেশায় আগ্রহী ছিল। এ পেশায় মর্যাদাও পায় তারা। পিয়নের চাকরির জন্য এমএ ও বিএ পাস করে আবেদন করে মেয়েরা। কিন্তু বেশি বেতনের পরেও ড্রাইভিং পেশায় আসতে চায় না। এই পেশাকে মর্যাদাবান করা গেলে নারীরাও এ পেশায় আসবে।'
বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'সারাদেশে ২৮টি ট্রেনিং সেন্টার আছে আমাদের। নারীরা আবেদন করলে সেখানে নিয়োগ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকটি চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করার পর নারী আবেদনকারী সেভাবে পাওয়া যায়নি। এমনকি কোটায় নিয়োগ করারও লোক পাওয়া যায়নি। একজন নারীকে পেয়েছিলাম তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সার্কুলারের সময় নারীরা আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করবো।