গত জুলাই মাসে ২৯৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে কন্যাশিশু ১০৮ জন এবং ১৯০ জন নারী। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায় সংগঠনটি।
মহিলা পরিষদ জানায়, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে জুলাইয়ে ২৯৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৪১ জন কন্যাশিশুসহ ৬০ জন। তার মধ্যে সাত জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার। পাঁচ কন্যাশিশুসহ ছয় জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ৯ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন পাঁচ জন কন্যাশিশুসহ ১০ জন। ছয় কন্যাশিশুসহ সাত জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন। এক জন কন্যাশিশুসহ দুই জন এসিডদগ্ধের শিকার। অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে একজনের। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ১৪ জন। এরমধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় ছয় জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার চার কন্যাশিশুসহ ১৮ জন। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই জন। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে একটি। এছাড়া দুই জন গৃহকর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন কারণে চার কন্যাশিশুসহ ৫৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে একজন কন্যাশিশুসহ চার জনকে। সাত জন কন্যাশিশুসহ ৩০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সাত জন কন্যাশিশুসহ ২৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তারমধ্যে তিন জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন ১০ জন কন্যাশিশু। ১৮ জনকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছেন দুই জন। একজন কন্যাশিশুসহ পাঁচ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে সাতটি। এছাড়া চার জন কন্যাশিশুসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।