রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা’ জনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ৩০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, পুলিশকে কুপিয়ে জখম করা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজনের বেশি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকালে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকা সবচেয়ে দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা আছে।
তিনি বলেন, অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত ছিল এই জনি। আমার তার বিরুদ্ধে নতুন করে দুটি মামলা দেবো। একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি মাদক আইনে।
‘রক্তচোষা জনি’ কেন নামকরণ হলো, জানতে চাইলে আজিমুল হক বলেন, তার বিভিন্ন কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনও কাজ করে থাকতে পারে, যে কারণে এই ভয়ংকর নামের খ্যাতি পেয়েছে। তার নামে মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কতটা ভয়ংকর। বেশ কিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। অতঃপর তাকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি।
ঢাকা উদ্যান হাউজিংয়ের রুহুল আমিন ও তার ভাই রুবেল নামে দুজন সন্ত্রাসী জনিকে মাদক ব্যবসায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বলেন, ‘তার দুষ্কর্মের সহযোগি, সেল্টার দেবার লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করবো।'
পুলিশকে কোপানোর ঘটনায় এই জনির সম্পৃক্ততা আছে জানিয়ে আজিমুল হক বলেন, ‘এর আগে এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। অনেকগুলো অপরাধ করেছে সে। তাকে গ্রেফতারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।'