বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্বকাপে পাঠাতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টারস গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।
নোটিশে বলা হয়েছে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং ম্যাচ সংখ্যায় দ্বিতীয় সেরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তার জায়গা হলো না বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে, এটি একটি ষড়যন্ত্র। এশিয়া কাপে ভরাডুবি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ওপেনিং। নতুন প্লেয়ার তথা তানজিম তামিমকে এই বড় মঞ্চে ওঠানো ঠিক হবে না বরং অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল ঠিক।
নোটিশে আরও বলা হয়, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি, ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক। লর্ডসের অনার বোর্ডে একমাত্র বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তামিম ইকবালের নাম আছে। ঘরের মাটিতে তার গড় রান ৩৭, ঘরের বাইরে ৩৫ এর মতো। দুই জায়গাতেই সমান সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে তামিমের। সুতরাং আনফিটের অজুহাতে অভিজ্ঞ তামিমকে দলে না রাখার পেছনে কোচ ও অধিনায়কের ব্যক্তিগত আক্রোশই দায়ী।
নোটিশে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও কিন্তু পরিপূর্ণ ফিট নয়, তারপরও তাকে দলে রাখা হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ খেলবেন না এবং পরবর্তী ম্যাচগুলো খেলবেন। অন্য দেশে অভিজ্ঞতার দাম দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের দেশে নয় কেন?
এসব ঘটনাবলি ও বিষয়বস্তু নোটিশ দাতাসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তামিম ইকবালকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্বকাপে পাঠানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। না হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।