পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার দেশের কৃষকদের ভাগোন্নয়নে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের জীবন ও মান বাঁচিয়ে রাখতে সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান করছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সাহসী ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই দেশের প্রতিটি সেক্টরসহ মেগা প্রকল্পগুলোর অভূতপূর্ব দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
রবিবার (১ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস এসআইডি-সিএইচটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে বরাদ্ধকৃত জিওবি’র অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য জেলার কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার মেশিন, পাওয়ার টিলার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, পাওয়ার ফুট স্প্রে মেশিন, পানির পাম্প মেশিন অনায়াসে ব্যবহার করতে পারছে। এখানকার কৃষকরা আধুনিক মেশিনগুলো চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব সেক্টরের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজে যুগোপযোগী কর্ম পরিকল্পনা করছেন এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে দেশকে আজ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস এসআইডি-সিএইচটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্ধকৃত জিওবি অর্থায়নে চার কোটি টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে ১৪৬ জনকে ৫৭ লাখ টাকা, অন্যান্য কর্মসূচিতে ৩৯১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে- রাইচ কম্বোমিল ৯টি, পাওয়ার টিলার ২১টি, পাওয়ার রিপার ৯টি, পাওয়ার প্রেসার ১টি, কম্বাইন্ড হারভেস্টার ৪টি, পাম্প মেশিন ১৫টি পাওয়ার স্প্রে মেশিন ১৮টি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কর্ফোস চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, খাগড়াছড়ি মংসার্কেল রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম বক্তব্য রাখেন।