চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করছে সরকার। এরই মধ্যে প্রায় ৩৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের সাত ধরনের ২৪টি যন্ত্রপাতি বন্দরের অপারেশনাল কাজে যুক্ত হয়েছে। বাকি যন্ত্রপাতি পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হওয়া যন্ত্রপাতিগুলো উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক রিনাউন্ড দেশ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা এগিয়ে যাবো।’
নতুন সংগৃহীত যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২৪৩ কোটি টাকা মূল্যের চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ছয়টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, ১৪ কোটি টাকা মূল্যের চারটি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি টাকার চারটি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, ৭ কোটি টাকার দুটি কন্টেইনার মুভার, ২০ কোটি টাকার দুটি মোবাইল ক্রেন (১০০ টন) এবং ১১ কোটি টাকায় দুটি মোবাইল ক্রেন (৫০ টন), ক্রয়কৃত চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বন্দরের বহরে বর্তমানে ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২২ ২৩ অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টিইইউস (টুয়েন্টি ফিট ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিটস), জেনারেল কার্গো ওঠানামা হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ টন, জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ হাজার ২৫৩টি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়ে গেছে। আমাদের পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রাবন্দর এগুলো আমাদের সক্ষমতার উদাহরণ। দেশ-বিদেশে নয়, আমরা বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই।’
নৌপরিবহন খাত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেরিটাইমকে বাদ দিয়ে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিষয়টির প্রতি জোর দিয়েছেন। সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতায় দেশে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু টানেল আরেকটি গর্বের বিষয়। সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের সক্ষমতার কথা জানিয়ে দিচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী পরে বন্দর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত ট্রেনিং সিমুলেটর ও নবনির্মিত অফিসার্স ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন করেন। সিমুলেটর ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। সিমুলেটর রিপেয়ার, মেইনটেনেন্স, ট্রেনিং ও খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অফিসার্স ডরমেটরি ভবনটি ১০ তলা বিশিষ্ট ৩২ ইউনিটের।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল উপস্থিত ছিলেন।