রাজধানীর ডেমরায় পুলিশ পরিচয় মাইক্রোবাস আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সৌদি প্রবাসীসহ একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছেন। এসময় স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ডেমরা থানাধীন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন (২৮) এয়ারপোর্ট থেকে দেশের বাড়ি চাঁদপুরে যাচ্ছিলেন। আনোয়ারসহ আহত হয়েছেন তার ছোট বোন নুসরাত জাহান (২০), বড় বোন জান্নাতুল নাঈম (৩৫) ও তার স্বামী আবু তাহের (৪৫)।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সৌদি প্রবাসীসহ একই পরিবারের চার জন আহত হয়ে ঢামেকে আসেন। এদের মধ্যে দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। এছাড়া আনোয়ার হোসেন ও তার বড় বোন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত জান্নাতুল নাঈম জানান, তার ছোট ভাই আনোয়ার পাঁচ বছর যাবৎ সৌদি আরবে থাকে। সেখান থেকে চার মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসে সে। রাত আড়াইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে আমরা তাকে আনতে সেখানে যাই। সেখান থেকে আমরা একটি মাইক্রোবাসে করে চাঁদপুরের শাহরাস্তির শিবপুর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমি, আমার স্বামী, আমাদের দুই সন্তান, ছোট বোন ও ভাই ছিলাম গাড়িতে।
তিনি আরও বলেন, পথে অজ্ঞাত ছয় থেকে সাত জন অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় আমাদের গাড়ি আটকায়। তারা পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। তোমাদের গাড়িতে স্বর্ণালংকার কী আছে বের করো—এ কথা বলে। একপর্যায়ে তাদের দিতে না চাইলে আনোয়ারকে ডান ও বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে। আমার বাম হাতে ও আমার স্বামী আবু তাহের ও ছোট বোন নুসরাত জাহানকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে। এসময় আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার রিয়াল ও ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।
পরে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকা মেডিক্যালে আসি। হাসপাতালে আনোয়ার ও আমার চিকিৎসা চলছে। আমার স্বামী আবু তাহের ও বোন নুসরাতকে ঢামেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা।