কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ সরকারের প্রতি আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের দাবি জানিয়েছে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী পাঁচ দশকে বাংলাদেশের নারীদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত কয়েক দশকে নারীরা পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করলেও দেশে এখনও নারী নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং এবং ধর্ষণ-গণধর্ষণসহ নারীদের প্রতি সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক কোনও পরিবর্তন আসছে না। বরং নারীর প্রতি সহিংসতার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গণপরিবহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, এমনকি অনেক নারী নিজের পরিবারেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় সংবাদ সম্মেলনে আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো– যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তদারকি কমিটি করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর সংশোধনীতে (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রকাশিত গেজেট) উল্লেখিত নারীর প্রতি আচরণ সংক্রান্ত নতুন বিধি ৩৬১ক এবং এই বিধির ৩৬১ক (২) ধারা বাস্তবায়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের সদস্য সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও নেতারা।