বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে ইরানি রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেন। এসময় ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি মাহমুদ খোসরাভি তার সঙ্গে ছিলেন।
এছাড়াও ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদ, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিপাক্ষিক এই সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করাসহ শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আরও ভিজিটিং অধ্যাপক, শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষা, গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে নীতিগতভাবে তারা ঐকমত্য পোষণ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে।’ ওয়েবিনার, কর্মশালা ও সেমিনারসহ বিভিন্ন যৌথ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এই চমৎকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় ও মজবুত করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থী বিনিময়ের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন উপাচার্য।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি আগামী বছরের শুরুতে ইরান সফরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ইরানের ভিজিটিং প্রফেসর নিয়োগ এবং ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ব্যাপারেও গভীর অগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।