অর্থ, আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তিন মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশ সপ্তাহের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানজুরুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন মতবিনিময় সভা বাস্তবায়ন উপকমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রাজারবাগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সেসব পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সভায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা কর্তব্য পালনে যে দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেন, তার প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে উন্নয়ন কষ্টসাধ্য। তাই বাংলাদেশ পুলিশের সার্ভিস অত্যন্ত অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে আপনারা যেভাবে কাজ করছেন, সে জন্য আপনারা প্রশংসার দাবিদার। আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো গুরুত্বসহ বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে। যুগের চাহিদা ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ নিজেদের গড়ে তুলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
সভায় প্রস্তাবিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব বিষয় বিবেচনায় অত্যন্ত আন্তরিক।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশের যেকোনও সংকট ও প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনে কুণ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশ কখনও তাদের পেশাদারত্ব থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিষয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি।