X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সারা বছরই পাওয়া যাবে সেচ সংযোগ

সঞ্চিতা সীতু
০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০০আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০০

নতুন জারি করা সেচ নীতিতে তুলে দেওয়া হলো সময়ের বাধ্যবাধকতা। এখন থেকে বৈদ্যুতিক সেচ কার্যক্রমের জন্য আলাদাভাবে কোনও সেচ মৌসুম থাকছে না নতুন নীতিমালায়। স্থানীয় এলাকার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সারা বছরই বৈদ্যুতিক সেচ কাজ পরিচালিত হবে। আবেদনকারীরা বছরব্যাপী পাবেন সেচ সংযোগ।

আগে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত সেচ মৌসুম বিবেচনা করা হতো। এ সময়ের বাইরে আবেদন করলে পাওয়া যেতো না সেচ সংযোগ। এটিকে সাধারণত বোরো মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে দেখা যায় সারা বছরই কোনও কোনও এলাকায় সেচের প্রয়োজন হয়। তখন সংযোগের আবেদন করলে তা পাওয়া যেতো না।

সেচ নীতিমালা ২০২৪-এ বলা হয়েছে, আউশ, আমন ও বোরো ধান উৎপাদনের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, তেল জাতীয় ফসল, হলুদ, আদা, শাক-সবজি, মৌসুমি ফুল-ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে সকল ধরণের কৃষিকাজ সেচ কার্যের আওতাভুক্ত হবে।

প্রতিটি সমিতিকে সেচ গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা মোবাইল নম্বরসহ সেচ পাম্পের শ্রেণিওয়ারি ও ক্যাপাসিটি ভিত্তিক তালিকা প্রণয়নপূর্বক তা সংরক্ষণ করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও বিধি-বিধানের আলোকে প্রদত্ত উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে দ্রুত নতুন সেচ সংযোগ প্রদান করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেচে সরকার ভর্তুকিমূল্যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে। এই বিদ্যুৎ যাতে অন্যকাজে ব্যবহার না হয় এ জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সেচের জন্য যত্রতত্র পানির পাম্প বসানোর পর পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এজন্য পাম্প বসানোর আগে সেচ কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া বোরিং স্থান পরিবর্তন করা হলে নতুন সংযোগ প্রদান করা যাবে না এবং বিদ্যমান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কোনও কারণে সাময়িকভাবে গ্রাহকের সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে কেবলমাত্র সংযোগ বিচ্ছিন্নের অব্যবহিত পরবর্তী বছরে পুনঃসংযোগের সময় নতুন করে উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে না।

সেচ সংযোগপ্রত্যাশী যে গ্রাহক উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র আবেদনের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জমা প্রদান করবেন তিনি নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনও কোনও এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে লোড বৃদ্ধি তথা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হর্স পাওয়ারের মোটরের প্রয়োজন দেখা দিলে সাব-মারসিবল পাম্প স্থাপন করতে হতে পারে; এক্ষেত্রে সেচ পাম্পটি অবশ্যই কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে এবং ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুসরণের শর্ত মেনে চলতে হবে।

সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, এখন সারাবছরই নানা ফল আর ফসলের আবাদ হয়। এসব আবাদে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। কৃষক যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

/এসএনএস/এমএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার