রাজধানীর মিরপুরের বুড়িরটেক এলাকায় ৬৫০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এ জমি হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ, আলীনগর হাউজিং, খাতুন প্রোপার্টিজের নামে প্রকল্প করে অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় করছিল বলে অভিযোগ প্রশাসনের।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার সাহা ও মিরপুর রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার এ অভিযান চালান। অভিযানের নির্দেশন দেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ও তত্ত্বাবধান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিক। উচ্ছেদ কার্যক্রমের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিপুল সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।
তবে উচ্ছেদ অভিযানকে ‘রহস্যজনক’ দাবি করে হ্যাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড থেকে বলা হচ্ছে, আদালতের আদেশের তোয়াক্কা না করে এবং বিনা নোটিশে পল্লবী থানাধীন বাউনিয়া মৌজায় ডিওএইচএস সংলগ্ন তাদের আলীনগর প্রকল্পে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
হ্যাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে প্রকল্প করেছেন তারা। যাদের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে তাদের নামে সিএস, আরএস, এসএ, মহানগর জরিপ এবং খাজনা খারিজসহ যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। জমি কেনার পর কোম্পানি নিজ নামে খাজনা খারিজ করিয়ে নেয়। এরপর অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের কাছে প্লট বিক্রি করেছে কোম্পানি।
এদিকে ঢাকা জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত এই সম্পত্তি (০৫/৭২-৭৩ এল) কেসমূলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অনুকূলে অধিগ্রহণ করা হয়। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এ সম্পত্তি অব্যবহৃত রাখায় ২০০৯ সালে তৎকালীন ঢাকা জেলা প্রশাসক এ সম্পত্তি পুনর্গ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে পুনর্গ্রহণের গেজেট প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি মতে, সাবেক মিরপুর (বর্তমান পল্লবী) থানাধীন বাউনিয়া মৌজার সি.এস ৩১০১, ৩১০২, ৩১০৩, ৩১০৪, ৩১০৫, ৩১০৬, ৩১০৭, ৩১২১ এবং ৩১২৩ দাগে পুনর্গ্রহণ করা জমির পরিমাণ ১০ দশমিক ১৮ একর।