আওতাধীন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, কারণ অনুসন্ধান, প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ ও সমাধানের কর্মপদ্ধতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রতিনিধি।
ডিএনসিসি আওতাধীন কয়েকটি এলাকার জলাবদ্ধতার কারণ ও সমাধানে করণীয় বিষয়ে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
উপস্থাপনার বিষয় পর্যালোচনা করে ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশেপাশের এলাকা নাখালপাড়া, মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃক নতুন পাইপলাইন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট রোড, নাখালপাড়া লেভেল ক্রসিং থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনের দিকে প্রায় ৫১১ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিক সুয়ারেজ লাইন সর্বোচ্চ ব্যাসের পাইপ দ্বারা নতুনভাবে নির্মাণ এবং পাগলার পুল ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) জামে মসজিদ সংলগ্ন কালভার্ট নতুনভাবে সিঙ্গেল ভেন্ট এ ডিজাইন করে, ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের বাংলাদেশ রেলওয়েকে আহ্বান জানান।
এছাড়া বিমানবন্দর রেল স্টেশন সংলগ্ন জলাধার সংরক্ষণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
মীর খায়রুল আলম বলেন, বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালে এয়াপোর্ট রোডে অপর্যাপ্ত সাইড ড্রেন নির্মাণ ও বিদ্যমান নেটওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে আমরা ইতোমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প কর্তৃক উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে উত্তরার সেক্টর-২,৪,৬ ও ৮ এর পূর্ব পার্শ্বস্থ রেললাইন সংলগ্ন বিদ্যমান আরসিসি ড্রেন অক্ষত রাখা এবং উক্ত আরসিসি ড্রেনের পূর্ব পার্শ্বে বৃহৎব্যাসের পাইপ লাইন স্থাপনের বিষয়েও আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি বলে জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সবশেষে মীর খায়রুল আলম বলেন, সব সংস্থা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে। শহরের জন্য এগুলো প্রয়োজন। কিন্তু শহরের পরিবেশ ঠিক রেখে, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেটি নিশ্চিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় না হলে শুধু সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পক্ষে দ্রুত সময়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন।
জলাবদ্ধতা নিরসনের টেকসই সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আরও অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা।