সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রথমে আটকের কথা বলা হলেও পরে পুলিশ জানায়, বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রথমে দাবি করে, রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আরাফাতকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু পরে সূত্রটি নিশ্চিত করে, আরাফাতের বাসায় তল্লাশি চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, তাদের কাছে আরাফাতকে আটকের কোনও তথ্য নেই।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনের নামে দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ আলী আরাফাতও আসামি। এছাড়াও একই রকম আরও কয়েকটি মামলায় অন্যদের সঙ্গে তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে কাজ করেছেন। আগে বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে দলের হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমকে (হিরো আলম) হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হলে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।