X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: ইফতেখারুজ্জামান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫২আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫২

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করতে হবে। এই আইনে ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আইনটিকে যারা কর্তৃত্ববাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা হুকুমের আসামি তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এতে দেরি হওয়ার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটালি রাইট ও নাগরিক নামে দুই সংগঠন এই বৈঠকের আয়োজন করে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমার উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হচ্ছে, আইনের পরিবর্তন এখনও হয় নাই; তবে হবে আশা করছি। প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন হচ্ছে না, প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার পরিবর্তন হচ্ছে না। সেই জায়গায় আমাদের হাত দিতে হবে। আমাদের দেশে জাতীয় নিরাপত্তার নামে গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে অস্বীকার করবো না। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থায় যে চর্চা প্রতিষ্ঠিতহয়ে গেছে সেটির দৃষ্টান্ত কিন্তু আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি।

‘বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কোনও আইনের মধ্যে আর সাইবার সিকিউরিটি শব্দটি থাকা উচিত নয়, সেটি যত ভালো আইনই হোক না কেন। দেশে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা হয়েছে৷ নতুন আইন করার সময় এ বিষয়টি অপরিহার্য, যাতে করে আইনের নামে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি না হয়।

বৈঠকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাইবার নিরাপত্তার নামে প্রচুর মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন মন খুলে সমালোচনা করতে। তবে হাসিনার সময়েও মামলা হতো, এখন ইউনূসের সময়েও মামলা হচ্ছে। এটা হয়তো তিনি (ড. ইউনূস) কথার কথা বলেছিলেন।

আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, আমাদের মানসিকতা হচ্ছে হয়রানি করা। হয়রানি করাটা মূখ্য উদ্দেশ্য। সাইবার সিকিউরিটি এই আইনে নিশ্চিত করা যায়নি। নতুন আইন করার ক্ষেত্রে কেউ যাতে ওই আইনে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

এমআরডিআই এর হেড অব প্রোগ্রাম অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ন্যাশনাল সিকিউরিটির আলোচনাকে আর সাইবার সিকিউরিটির আলোচনাকে যদি আমরা আলাদা করতে না পারি তাহলে আমাদের আরও অনেক বড় অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, এটাও মাথায় রাখা দরকার।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। এছাড়া মানবাধিকারকর্মী, নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

/এএজে/এফএস/
সম্পর্কিত
পল্টনে সাব্বির টাওয়ারে আগুন
খিলগাঁওয়ে ভবন থেকে পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
সর্বশেষ খবর
কারিগরি সেক্টরকে ঢেলে সাজাতে সংস্কার প্রস্তাব দেবে এনসিপি: নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী
কারিগরি সেক্টরকে ঢেলে সাজাতে সংস্কার প্রস্তাব দেবে এনসিপি: নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী
আইনজীবীকে মারধর করে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
আইনজীবীকে মারধর করে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে নেমে কিশোরী নিখোঁজ
ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে নেমে কিশোরী নিখোঁজ
শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ দাফনের পর ককটেল হামলা
শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ দাফনের পর ককটেল হামলা
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন