X
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
১৪ আষাঢ় ১৪৩২

ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক পুনরুত্থানের দাবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫১আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫১

বর্তমান সময়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কে ছেদ পড়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। এ জন্য অভিভাবক, রাষ্ট্র, সমাজ এমনকি নিজেদেরও দায়ী করেছেন তারা। সম্পর্কের এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন শিক্ষকরা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি (এফইটি) আয়োজিত ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী চিরায়ত সম্পর্কের পুনরুত্থান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন।

শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীকে কেন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। দেশ, রাজনীতি সম্পর্কে তাদের জানানো যেতে পারে। তারা সংবিধান বোঝে না কিন্তু দেশ পরিবর্তনের চিন্তা তাদের তৈরি হয়। তাদের যত্ন করলে সমাজের প্রতি যত্নশীল হবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকাও অনেক বড়।

আলোচকরা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকার কথা সেখান থেকে কিছুটা বিচ্যুতি ঘটেছে। প্রতিদিন বাসের হেল্পার থেকে শুরু করে নানা স্থানে ঝামেলা হচ্ছে। শিক্ষকের দায়িত্ব এখানে শিক্ষার্থীকে বিষয়গুলো বোঝানো। শিক্ষার্থী সমাজে সেতুর মতো কাজ করতে পারেন।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষক গালিব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের কিছুটা পতন যে হয়েছে সেটা সত্যি। শিক্ষার্থীরা যত ওপরের ক্লাসে যাচ্ছে, ততই শিক্ষকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। এখন দেখতে হবে, কেন দূরত্ব বাড়ছে। আসলে আমরা তাদের কতটুকু সময় দিচ্ছি। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছি।’ এ সময় তিনি এই পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে আসার কথাও বলেন।

অধ্যাপক উপল তালুকদার বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব আছে বলে মনে করি না। কোনও কিছুই চিরায়ত নয়, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন তো হবেই। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সরকারের সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, আশির দশক থেকে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। এখন থেকে ৪০ বছর আগে এক বিঘা জমিতে যে ফসল হতো এখন তার তিনগুণ হয়। খাদ্য, বস্ত্রের অভাব কেটে গেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখছি ধনী শ্রেণীর হাতে এর নিয়ন্ত্রণও চলে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ রকম স্কুল ও পাঠ্যপুস্তক আছে। কিন্তু সংবিধানে লেখা আছে এক রকম থাকবে।’

/এএইচএস/আরকে/
সম্পর্কিত
নামেই শুধু সরকারি কলেজ, নানা সংকটে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে পদদলিত হয়ে ২৯ শিক্ষার্থী নিহত
১৬ বছরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে তথ্য চেয়েছে ঢাবি প্রশাসন
সর্বশেষ খবর
বিমানে যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি এয়ারক্র্যাফট, যাচ্ছেও ২টি
বিমানে যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি এয়ারক্র্যাফট, যাচ্ছেও ২টি
ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা
হ্যাজেলউডের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়
হ্যাজেলউডের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ
সর্বাধিক পঠিত
ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’
ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’
বিরোধীদের নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ নয়: দ্য ইকোনমিস্ট
বিরোধীদের নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ নয়: দ্য ইকোনমিস্ট
যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেলপথ
যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেলপথ
খিলক্ষেতে মণ্ডপ উচ্ছেদ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
খিলক্ষেতে মণ্ডপ উচ্ছেদ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেলো বাস, একজন নিহত
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেলো বাস, একজন নিহত