আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে উগ্র সংগঠন ইসকন সদস্যদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাইফুল ইসলাম আলিফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য। কোনও আইনজীবী অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা গেলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ফ্যাসিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসীরা দেশি-বিদেশি দোসরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন সদস্যরা সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আইনজীবীরা যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তার পেশা পরিচালনা করতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি।
এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জোরালো দাবি জানাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতেও জোরালো দাবি জানাচ্ছে, যোগ করেন মাহফুজুর রহমান মিলন।
প্রসঙ্গত, ইসকন মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালনার একটি সংগঠন। তাদের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, ধর্মীয় উপদেশ দেওয়া, আধ্যাত্মিক অনুশীলন ও ভক্তি কার্যক্রম এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা। সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে যোগব্যায়াম ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম করে থাকে সংগঠনটি।
ইসকনের ওয়েবসাইটের (ইসকন ডট অর্গ) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে গঠিত হয় সংগঠনটি। এর প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণা রবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ।