টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মিজানুর রহমান (৪২) নামের আরেকজন নিহত হয়েছেন। তিনি তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের একজন সদস্য ও ফুলবাড়ি থানার জিম্মাদার সাথী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি চন্দথানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবির উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে মিজানুর রহমান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের একজন সক্রিয় সদস্য ও ফুলবাড়ি থানার জিম্মাদার সাথী। মিজানুর রহমান সাদপন্থিদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার কাজে অংশ নিতে টঙ্গীর ময়দানে এসে জুবায়ের পন্থিদের আক্রমণে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।
এসআই আশরাফ আলী বলেন, বিদায়ী বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে উভয় পক্ষের মারামারিতে মিজানুর রহমান আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের বোন জামাই মোসাদ্দেকুল হক বলেন, মিজানুর রহমান পেশায় স্টেশনারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাবলিগ জামাতের কোনও গ্রুপের সদস্য— তা আমার জানা নেই। এক ছেলে দুই মেয়ের জনক ছিলেন।
এদিকে নিহতের এক সাথী ভাই সোহেল জানিয়েছেন, তারা সাদ অনুসারী। তিনি বলেন, আমরা ইজতেমার মাঠে ছিলাম, সেখানে ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সে সময়ে মিজানুর গুরুতর আহত হয়।