X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে

জবি প্রতিনিধি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০৬আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:৩০

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেন।

স্টেশন মাস্টার বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬টি ট্রেনের বিলম্ব হয়েছে। লাইন ক্লিয়ার হলে আমরা সব ট্রেন ছেড়ে দেবো। এখনও শিডিউল করা হয়নি। ওইপাশে ক্লিয়ার হলে শিডিউল সাজানো হবে।

এর আগে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করে রাখলে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য কমলাপুর স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

জানা যায়, বিকাল ৩টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। এর মধ্যে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহাখালীতে বাধার মুখে পড়লে কমলাপুর স্টেশনে ফিরে আসে। 

রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। জায়গা না পেয়ে অনেকে স্টেশনের ফ্লোরে বসে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশি। অনেকে স্টেশন মাস্টারের রুমে ও তথ্যকেন্দ্রে ভিড় করছেন ট্রেন ছাড়ার সময় জানতে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

কমলাপুর থেকে সিলেটগামী কালানী এক্সপ্রেস দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবরোধ না ওঠায় অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা। কালানী এক্সপ্রেসের যাত্রী রায়হান বলেন, আমি মোহাম্মদপুর থেকে ২টায় স্টেশনে এসেছি। কাল আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে ভূমি অফিসে। কিন্তু এখন এখানে আটকে আছি। সবাই বলছে রাতে ট্রেন ছাড়বে। তাই অপেক্ষা করছি।

ট্রেন তিতাস কমিউটারের যাত্রী সিরাজ মন্ডল বলেন, ছাত্ররা রেললাইন আটকে রেখেছে, তাই ট্রেন চলে না। যারা লাইন আটকে রেখেছে, তারা কী একাই ছাত্র, আর কোনও ছাত্র নাই দেশে। অনেকের তো পরীক্ষাও থাকতে পারে কাল। কত অসুস্থ মানুষ আছে, তাদের কষ্ট হচ্ছে। ট্রেন আটকে, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় বানাবে তারা।

জায়গা না পেয়ে ফ্লোরে বসে ছিলেন ষাটোর্ধ্ব রুবিনা খাতুনকে। ছেলে শহীদুলের সঙ্গে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। শহীদুল ইসলাম বলেন, মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। তিনি এমনিতেই অনেক অসুস্থ। এখানে আত্মীয় না থাকায় একটি হোটেলে ছিলাম গতকাল। আজ ডাক্তার দেখিয়ে ট্রেনে যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছি। কিন্তু যেতে পারছি না। মা এমনিতেই অসুস্থ, বাসে চলাচল করতে পারেন না, আজ আবার হোটেলে থাকতে হলে খরচ আছে। ট্রেন ছাড়বে শুনছি, দেখি কখন ছাড়ে।

এদিকে বিকাল ৫টা থেকে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা অবরুদ্ধ করে রাখে স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেনকে। পরে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে তিনি মুক্ত হন।

/এমকেএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লাইনে চলে একটি ট্রেন
ময়মনসিংহে ট্রেন আটকে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সর্বশেষ খবর
পল্টনে সাব্বির টাওয়ারে আগুন
পল্টনে সাব্বির টাওয়ারে আগুন
‘কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে আইএমএফ ছাড়ার চিন্তা সরকারের’
‘কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে আইএমএফ ছাড়ার চিন্তা সরকারের’
কুড়িগ্রামে জামায়াতের রুকনসহ দুই জন বহিষ্কার
কুড়িগ্রামে জামায়াতের রুকনসহ দুই জন বহিষ্কার
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার