বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা অন্যান্য সকল কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট বা লকার তল্লাশির জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করে তল্লাশির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে তল্লাশির সময় দুদককে সহযোগিতা করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন।
গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার লকার বা সেফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনও কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিয়ে যেতে না পারেন।
দুদকের পরিচালক (উপসচিব) কাজী সায়েমুজ্জামান মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় থাকা লকার (Safe Deposit) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খোলা এবং প্রাপ্ত সামগ্রী ইনভেন্ট বা উদ্ধার করার অনুমতি চেয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো নাজমুল হুসাইন আদালতে আবেদন করেন।
আদালত দুদকের আবেদনটি শুনানি এবং দুদকের দাখিল করা কাগজপত্রসহ আবেদনটি পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মঞ্জুর করেন।
একইসঙ্গে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার দরখাস্তে বর্ণিত অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে লকার (Safe Deposit) বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খুলে প্রাপ্ত সামগ্রী উদ্ধারে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ করে আদেশ দেন।