রাজধানীর দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যা মামলায় ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একজন শিশু হওয়ায় রিমান্ড শুনানির জন্য শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন— মাহফুজ সরকার, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক, কাওছার মিয়া, শাহ আলম এবং সোহান মিয়া।
এদের মধ্যে মাহফুজ সরকারের ৫ দিন, পরের ৫ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোহান শিশু হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে হবে বলে আদেশ দেন আদালত।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাদের এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানির জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি রাখেন। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষে সবুজ খান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেনন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় শাহ আলম ব্যতীত ৬ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি দল। পরদিন ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিনহাজুল যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৬ জানুয়ারি দনিয়া কলেজে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিনহাজুলের সঙ্গে মাহফুজ ওরফে কিং মাহফুজসহ অন্য আসামিদের তর্কবিতর্ক হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি বিকালে মিনহাজ ও তার বন্ধু আহাদ দনিয়া কলেজের সামনে গেলে সেখানে মাহফুজসহ অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুইচ গিয়ার, চাকু, চাপাতি, রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মিনহাজুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত মিনহাজুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত মিনহাজুলের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ‘কিং মাহফুজ’সহ ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।