দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে রেজোয়ানুল হক নামের এক ব্যক্তি প্রতারণা করছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, এই প্রতারককে এর আগে প্রতারণার অভিযোগে আরেকবার গ্রেফতার করা হলেও জামিনে বেরিয়ে প্রতারণা শুরু করেছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, রংপুরের পীরগাছা থানার বাসিন্দা আল আমিনের ছেলে রেজোয়ানুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতারক চক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম-পদবি ব্যবহার করে বেআইনি প্রক্রিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তিনি প্রতারণামুলকভাবে দুদকের মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। ইদানিং এই চক্রটি বেপরোয়া হয়ে দুদক চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের ভুয়া ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে অসাধু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
দুদকের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রতারক রেজোয়ানুল হক তার সহযোগী ইয়াসমিন আক্তার নামের এক নারীর নামে রংপুরের কোতোয়ালি থানার নবাবগঞ্জ বাজারের আজহার প্লাজার ঠিকানায় থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলে। যার নম্বর-৭০১৭ ৪১৩৩ ৬৭৫২০। ওই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। যা দুদকের গোয়েন্দা শাখা পরিচালিত অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও তার অপর সহযোগী মোছা. জরিনা বেগমের নগদ অ্যাকাউন্ট (০১৮৯৮৬১১৬৭৪) নম্বরেও প্রতারণামূলক অর্থ আদায়ের তথ্য রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে হয়রানি করাসহ দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে। দুর্নীতি দমন কমিশন কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্ত শুরু করলে চিঠির মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে জানানো হয়। টেলিফোনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় না। চিঠিটি ভুয়া কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় অথবা নিকটস্থ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছে দুদক।
বিষয়টি ছাড়াও অন্য কোনও প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে, অথবা উল্লেখিত প্রতারক চক্রের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য কারও কাছে থাকলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর জন্য কিংবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা স্থানীয় থানার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।