ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম ও বিএমম সুলতান মাহমুদ।
পরে এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা উত্তরে ২০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় আতিকুল ইসলামসহ ৬ জনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট এবং প্রসিকিউশনের আবদনের পর ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃত এই আসামিদের প্রোডাকশন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আজ(১৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাদের কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ৯ মার্চ তদন্ত সংস্থাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ আছে ওই (ঢাকা উত্তর) এলাকায় জুলাই-আগস্টে নিরীহ, নিরস্ত্র ২০০ জনের অধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে তাদের কেউ চিকিৎসায় বাধা দিয়েছে, কেউ হেলমেটবাহিনী, ছাত্রলীগ-যুবলীগকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে এবং তারা ওই সময়ে বিভিন্নভাবে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। যার তথ্য-প্রমাণ ইনভেস্টিগেশন অফিসে আছে। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আতিকুল ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য পাঁচ নেতা হলেন- রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিভিন্ন মামলায় তারা কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে করা একটি মামলায় আতিকুল ইসলাম কারাগারে আছেন। বাকিরা অন্য থানায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।