X
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

জিএম কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুদক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ মার্চ ২০২৫, ১৫:০৪আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ১৬:১০

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। জালিয়াতির মাধ্যমে পার্টির চেয়ারম্যান পদ নেওয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মনোনয়নে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের। চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় প্রফেসর মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে জিএম কাদেরের স্ত্রী শরিফা কাদের সংসদ সদস্য হন।

পদবাণিজ্য ও অর্থ পাচার

জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আর্থিক সম্পদ ও স্থাবর সম্পত্তি

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।

তার স্ত্রী শরিফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তিনি দেশে-বিদেশে  বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নামে-বেনামে সম্পদ পাচার করেছেন। গোপন অনুসন্ধানে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। প্রকাশ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

/জেইউ/এমএস/
সম্পর্কিত
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির রেকর্ডপত্র দুদকে তলব
নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ
সর্বশেষ খবর
তিন লাল কার্ডের ম্যাচে আবাহনীকে আবার হারালো কিংস
তিন লাল কার্ডের ম্যাচে আবাহনীকে আবার হারালো কিংস
বীক্ষণ মঞ্চের ধ্বংস: সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার ওপর অব্যাহত আক্রমণের অংশ
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির বিবৃতিবীক্ষণ মঞ্চের ধ্বংস: সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার ওপর অব্যাহত আক্রমণের অংশ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
সাপের কারণে জাপানে বুলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ
সাপের কারণে জাপানে বুলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ
কূটনীতিক সুফিউর রহমানের নিয়োগ নিয়ে হচ্ছে কী
কূটনীতিক সুফিউর রহমানের নিয়োগ নিয়ে হচ্ছে কী
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক