সারা দেশে পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৭৩৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে সংশ্লিষ্টরা। এসব অভিযানে ১ হাজার ৫৯১টি মামলার মাধ্যমে ২৩ কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে ৪২৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়। ২০৪টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ১১৮টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয় ট্রাক ব্যাটারি রিসাইক্লিং যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে ৩৬২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয় এবং ১২টি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়া, রংপুর, নীলফামারী, বরগুনা, মেহেরপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৩টি মামলার মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৯টি ইটভাটার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) লালবাগ, পটুয়াখালী ও সুনামগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রয়ের দায়ে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০টি মামলার মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
এছাড়া, ঢাকা মহানগরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যশোরে শব্দ দূষণবিরোধী অভিযানে চারটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুটি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। সুনামগঞ্জে পাথর ক্রাশিংয়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে চারটি এস্কেভেটর ও ২০টি শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর জানিয়েছে, পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।