যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঘটানোর প্রতিবাদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজেদের সরব অবস্থান জানিয়েছে দেশের ছোট বড় বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই এই নিয়ে উত্তাল ছিল জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন সংগঠন।
সকালে শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, ইসলামি যুব মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফতে যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ব্যানারে পৃথক সমাবেশ করে। পরে বিকালে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করে উলামা জনতা ঐক্য পরিষদ, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র, বাংলাদেশ জন জোট পার্টি নামের সংগঠন।
এসময় হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এতে করে এই রাস্তায় গাড়ি চলাচলও কিছুটা বিঘ্নিত হয়।
উলামা জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় আবারও আমেরিকার প্রকাশ্য মদদে গনহত্যায় মেতেছে জায়নবাদীরা। আমরা এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় তারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘Except Israel’ নীতি পুনর্বহালের দাবি জানান। তারা বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না রাখার নীতিগত অবস্থান বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক এবং মুক্তিকামী জাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যদি এই নীতি অবিলম্বে পুনর্বহাল না করা হয়, জনগণ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলেও বলেন তারা।
এদিকে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ জন জোট পার্টি ব্যানারে আয়োজিত পৃথক সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আয়োজিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের কথা বলেন।