বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের সঙ্গে তার স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি মোরসালিনে বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌতুকের মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মোরসালিনের সঙ্গে আপোস হয়েছে উল্লেখ করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহর আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সেঁজুতি। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব জানান, মোরসালিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নক্ষত্র। দুই পক্ষের অনুরোধে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। তারই ফলশ্রুতিতে আজ আদালতে উভয় পক্ষ হাজির হয়, আপোষনামা দাখিল করে। আদালত সেঁজুতির দায়ের করা যৌতুক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেন। মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
জানা গেছে, ৮ লাখ টাকা দেহমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোরসালিন এবং সেঁজুতি। দেনমোহরের ৮ লাখ টাকার মধ্যে আজ সেঁজুতিকে নগদ ৬ লাখ টাকা দেন মোরসালিন। ২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নগদায়ন করবেন বলে আপোসনামায় উল্লেখ করা হয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোরসালিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সেঁজুতি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বৈবাহিক জীবনের সুখ, শান্তি ঠিক রাখতে চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার সেঁজুতিকে মানসিক চাপ দেন। এক পর্যায়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে সেঁজুতি বাবার বাসায় চলে যান।
২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টায় মোরসালিন সেঁজুতি বাবার বাসায় যান। এ সময় মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে যান সেঁজুতি। তখন মোরসালন জানান, তিনি খাবার খেতে আসেননি, ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছেন। সেঁজুতির বাবা-মা তাকে বলেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে দেওয়ার মতো সামর্থ তাদের নেই। তখন মোরসালিন সেঁজুতি ও তার বাবা-মাকে গালাগালি ও হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।