‘দৈনিকভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা-২০২৫’ বাতিল করে সরকারি দফতর, অধিদফতর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরতদের স্ব প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ’।
বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশে করোনাকালে দৈনিকভিত্তিতে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা সব আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়েছেন। জীবন বাজি রেখে লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখার লক্ষ্যে দৈনিকভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছে। অথচ করোনাপরবর্তী সময়ে সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রণোদনা দেওয়া হলেও আমাদের বঞ্চিত করা হয়।
তারা বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলের দীর্ঘ ১৫-২০ বছর আমরা দৈনিকভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, নিপীড়ন-নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হই। ৫ আগস্টের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেত্বত্বে অন্তবর্তী সরকার দেশ পরিচালনার শাসনভার গ্রহণ করে শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে। গত ২১ এপ্রিল কমিশন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দেন। কিন্তু এর আগে ১৫ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা-৩ থেকে একটি নীতিমালা প্রকাশ করা হয়, যা দৈনিকভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা। এই নীতিমালায় দৈনিকভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আগের নীতিমালা থেকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, যা নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো– ‘আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০২৫’ ঠিকাদার প্রথা বাতিল; মাসিক বেতন প্রদান ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ন্যূনতম্য মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করা; উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, অধিকাল ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা দেওয়া; ছয় মাস মাতৃীকালীন ছুটি ও বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি দেওয়া এবং চাকরিচ্যুতদের চাকরি পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতন দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সংগঠনের সদস্যরাসহ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।