তিন দফা দাবিতে শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে শুরু হওয়া সমাবেশ থেকে জানানো হয়, গণঅনশনের পরও সরকার দাবি না মানলে আন্দোলনের বিস্তৃতি ব্যাপক হবে। বড় কর্মসূচিতে যাবেন আন্দোলনকারীরা।
ইতোমধ্যে জবির নিজস্ব পরিবহনে সমাবেশস্থলে এসেছেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। বাদ যাননি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সমাবেশে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন। ইতোমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত একচুলও নড়বেন না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, জবির সাবেক ভিপি আলমগীর ইসলাম লোটন, পরিবেশ সংগঠক গ্রিন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হুমায়ূন কবির সুমন, উদ্ভিদ বিভাগ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইনউদ্দিন বুলবুল প্রমুখ।
এর আগে, শুক্রবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো যমুনার সামনের সড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। জুমার পর গণঅনশনের কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন দাবি না মানলে গণঅনশনের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামেন জবির শিক্ষার্থীরা। সেদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে এগুতে চাইলে কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন। বুধবার সারা রাত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এদিন রাতেও তারা যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা।