বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দিনভর এমন বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এতে কর্মজীবী মানুষের অফিসে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবেই এমন বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে ময়লা-আবর্জনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা হওয়ায় টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকায় পানি জমে গেছে। ফলে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষের।
পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের উপরে পানি উঠে যায়। পানি চলাচলের ব্যবস্থা সচল নয়। ময়লা-আবর্জনায় ড্রেন পরিপূর্ণ। ফলে বৃষ্টির পানি ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। সকাল থেকে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে গলিতে পানি উঠে গেছে। তাই বের হতে পারছি না, অফিসের জন্য লেট হয়ে গেছে।
এর আগে, গতকাল দেশের ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অফিস। বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হতে পারে জলাবদ্ধতা।
এছাড়া অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরেও দেওয়া হয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত।
উল্লেখ্য, চলতি মে মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি মাসেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে মাসের অর্ধেক সময়ের পর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে শুরু হয়। শেষ সপ্তাহের দিকে এসে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে আবার সাগরে লঘুচাপ দেখা দিয়েছে। লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হলেও এ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।