রাজধানীর পল্লবীতে আইনের ছাত্রী দোলন আক্তার দোলা (২৮) ও নাজমুল হোসেন পাপ্পু (৩৭) দম্পতিকে নিজ বাসায় ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার গাউস মিয়া দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এদিন গাউস দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রাজি হলে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতে পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ মে) নিহত নাজমুল আহসান পাপ্পুর বাবা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাদল পল্লবী থানায় হত্যা মামলায় দায়ের করেন। ওই দিন ঘটনাস্থল থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, নাজমুল আহসান পাপ্পু বে-সরকারি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতো। তার স্ত্রী দোলন আক্তার দোলা উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এল এলএম লেখাপড়া করতো। ভাড়া বাসায় থেকে লেখাপড়ার করতো সে। মাঝেমধ্যে পাপ্পুর বর্তমান ঠিকানার আসা-যাওয়া করতো। সোমবার (২৬ মে) পাপ্পু বরগুনা থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে তার স্ত্রীর কাছে যায়। ২৮ মে দুপুর ২টা ৭ মিনিটে দোলনের ম্যাসেঞ্জার থেকে পাপ্পুর শ্বাশুড়ির ম্যাসেঞ্জারে তাদের রক্তাক্ত ছবি আসে। দোলনের ভাই মো. শাওনুর রহমান ওই ছবি দেখতে পায়। পরে ওই ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে ভিডিও ফোন আসে। শাওনুর রহমান কল রিসিভ করে। আসামি শাওনকে ভিডিও ফোনে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখায় এবং জিজ্ঞাসা করে পাপ্পু কী হয়? আসামি স্বীকার করে, সে পাপ্পু ও তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।