এখন মুখ্য বিষয় হলো নির্বাচন, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। নির্বাচন আয়োজনের জন্য ব্যুরোক্রেসির পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। সংস্কারের আজুহাতে কিংবা পরিবর্তন করতে পারছি না (আওয়ামী লীগ আমলের আমলা) বলে নির্বাচনের জন্য সময় চাওয়া, এটা একটা কালক্ষেপণ। এক সপ্তাহে সময় দিলে নির্বাচন করা সম্ভব।
বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ঢাকা ফোরাম ইনেসিয়েটিভ ও 'ইউনিভার্সেল নিউজ এজেন্সির (ইউএনএ) যৌথ উদ্যোগে ‘গণতন্ত্রের পূর্ণাঙ্গ যাত্রা: জরুরি সংস্কার, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে, প্রত্যেক দলের অধিকার আছে— জনগণের প্রতিনিধি দিয়ে দেশ চালানো।
সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিক নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে এবং গর্বের সঙ্গে ভোট দিতে পারে।
প্রধান আলোচক জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের প্যানেল অব এক্সপার্টস রোস্টার এবং ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের মেডিয়েশন সাপোর্ট ইউনিটে মেডিয়েশন রোস্টারের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য ব্রুরোক্রেসির কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। একটি আনফেয়ার ইলেকশন করলে জনগণ এখন বসে থাকবে না। কোনও ডিসি, এসপি, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পার পেয়ে যাবে, সেটা ভাবার কোনও সুযোগ নেই।
প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগানো যাবে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, বৈচিত্র্যের নামে বিভাজন এটা জুলাই অভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নয়। একটি শক্তি বিভাজন করে ফিরে আসার চেষ্টা চলছে। পরাজিত শক্তি বারবার আমাদের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। তাই আমাদের দায়িত্বশীল আচরন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, ড. মাহাদী আমিন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।