ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ফিরতি যাত্রার ব্যস্ততা বাড়লেও শহরের চেনা কর্মচাঞ্চল্যে এখনও ফেরেনি। নেই চিরচেনা গাড়ির হর্ন, দীর্ঘ যানজট, মানুষের উপস্থিতি। সব মিলিয়ে রাজধানীতে ছুটির রেশ যেন এখনও পুরোপুরি কাটেনি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ষষ্ঠ দিন শেষেও রাজধানীর পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে শপিং মলে শুরু হয়নি বেচাকেনা। কিছু কিছু দোকান খোলা থাকলেও বেশিরভাগই বন্ধ। তবে রেস্টুরেন্টগুলোতে রয়েছে মানুষের সরব উপস্থিতি। আরা ফাঁকা ঢাকায় চলাচলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরীর বাসিন্দারা।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আবির অর্নব বলেন, ঢাকায় এখন চলাচল করে খুবই শান্তি পাচ্ছি। কোনও যানজট নেই, গাড়ির হর্ন নেই। দুদিন পরেই এই শান্তি আর থাকবে না। সব স্কুল-কলেজ, অফিস খুলে গেলে এটা আর সম্ভব হবে না।
দিশারী পরিবহনের চালক মো. আল-আমিন বলেন, এখন রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে শান্তি। কোনও জ্যাম নাই। আবার গাড়িতে গাদাগাদি করে লোকও ওঠে না। তবে যাত্রী কম হলে আমাদেরই সমস্যা।
মিরপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মনে হচ্ছে, ঢাকায় এখন নিশ্বাস ফেলার জায়গা হয়েছে। আমি বাসে মিরপুর থেকে গুলিস্তান যেতে পারছি আধা ঘণ্টায়। যেটা অন্য সময় গেলে দুই ঘণ্টা লাগে। যদিও অন্য সময় মেট্রোরেল ব্যবহার করি।
আসাদ গেট এলাকার সিএনজি চালক ইদ্রিস বলেন, ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় গাড়ি চালিয়ে শান্তি, কিন্তু যাত্রী পাই কম। বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশনের দিকে গেলে যাত্রী পাওয়া যায়।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, এখন রাস্তায় চলাচল করতে সুবিধা হলেও ঢাকার আসল রূপ ওইটাই, যেটা আমরা সবসময় দেখি। রবিবার থেকেই আমরা সেই চিত্র দেখতে পারবো।