রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গুলিতে আহত আনোয়ার হোসেন (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আনোয়ার হোসেন নিজেও ছিলেন শীর্ষ মাদককারবারি।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আনোয়ারের ভাগিনা সিনবাদ জানান, মাদক কারবার নিয়ে তার মামার (আনোয়ারের) সঙ্গে অন্য গ্রুপের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত ৮ মে রাত সোয়া ১১টার দিকে পূর্ব বাড্ডার ভূইয়া বাড়ির মোড় এলাকায় গোলাগুলি হয়। এতে আনোয়ারের শরীরে পাঁচ রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, মাদক কারবারি নুরা, তুহিন, রাসেল, হেলাল, নয়ন, কাইল্লা ইউসুব, শুটার সালাউদ্দিন, দেলোয়ার, শাওন, রতন ও ফর্মা সুমন তার মামা আনোয়ারকে গুলি চালায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১২ জুন তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনোয়ারের ভাগিনা সিনবাদ।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক কারবারের দ্বন্দ্বের জেরে আনোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটি মারামারি ও ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন বরিশালের মুলাদি উপজেলার আব্দুল কালামের সন্তান। বর্তমানে পূর্ব বাড্ডার সোনাকাটা এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।