ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেফতার, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল, ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্র-শিক্ষকদের বিচার এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিতে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৬ জুন) রাত আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা 'ডাকসু, ডাকসু ,ডাকসু চাই, ডাকসু ছাড়া উপায় নাই', 'ঢাবিতে হবে না, ককটেলের ঠিকানা', 'ক্যাম্পাসে ককটেল ফোটে, ইন্টেরিম কী করে', 'ঢাবিতে হবে না, সন্ত্রাসবাদের ঠিকানা', 'ডাকসুর তফসিল, দিতে হবে, দিয়ে দাও' ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
সমাবেশে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আজকে ভোরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কাঁটাবনের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর আগে কখনও এমন সাহস তারা দেখায়নি। এমনকি হাইকোর্টের সামনেও ককটেল পাওয়া যায়। এটা কখনোই অপরিকল্পিত না।
"আজকে দশ মাসের বেশি হয়ে গেলেও ছাত্রলীগের বিচারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রশাসনের দায়িত্বশীল আচরণ দেখতে পাচ্ছি না। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সাদ্দাম ইনান একত্রে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছিল।"
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি জুলাই হামলার সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে বহিষ্কার করা তো দূরের কথা তাদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নাই। আর তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।
এসময় তিনি অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী লীগ ও ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্র-শিক্ষার্থীদের বিচার, দ্রুত ডাকসু তফসিল ঘোষণা ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান।
ঢাবি শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, আজকে সকালে শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। আবার আইন ডিপার্টমেন্টর সামনে থেকেও ককটেল পাওয়া যায়। তাদের এসব কার্যক্রম প্রমাণ করে পলাতক আওয়ামী ও ছাত্রলীগ ডাকসুকে কেমন ভয় পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য ডাকসু প্রয়োজন। আমার চাই প্রশাসন অতি দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়িত করবে।