জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও কৃষকের প্রত্যাশা পূরণের ধারে-কাছেও কৃষি বাজেট যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক।
রবিবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি আয়োজিত ‘কৃষিখাতের সরকারি বাজেট বরাদ্দ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ার ফারুক বলেন, ‘কৃষক-মজুর সংহতির ধারণাপত্রে উত্থাপিত সবগুলো সুপারিশই সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতানুগতিক বাজেট কাঠামোর মধ্যে থেকে কৃষিখাতে কোনও গঠনমূলক পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারি ব্যবস্থার অদক্ষতা ও গভীর দুর্নীতির কারণে কৃষিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকর হয় না।’
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু বলেন, ‘বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ ফসলের লাভজনক দাম কৃষককেই সংগ্রাম করে আদায় করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাতে কৃষিতে বাস্তব বিনিয়োগ নিশ্চিত করা ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণের কোনও পথ নেই।’
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘বাজেটের কাঠামো গতানুগতিক ও নিস্পৃহ। এই বাস্তবতায় কৃষকের পক্ষের কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা যায় না। রাষ্ট্রের কাঠামো যখন কৃষকের কথা শোনে না, তখন লড়াই করেই নিজেদের হিস্যা আদায় করতে হয়।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিমের পরিচালনায় সেমিনারের শুরুতেই কৃষিখাতে বিনিয়োগে বাড়ানোর বিষয়ে সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে একটি ধারণাপত্র উত্থাপন করেন যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই ইলাহি, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম প্রমুখ।