ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ১৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৩ শতাংশ।
বুধবার (২৫ জুন) নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সপ্তম করপোরেশন সভায় এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
ডিএনসিসির প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সমান, যার পরিমাণ ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেট আয়ের ৬০ শতাংশ। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ।
উন্নয়ন খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে দুই হাজার ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা বাজেটের ৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়, যেখানে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা বাজেটের ৮ শতাংশ। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ।
রাজস্ব আয়ের উৎস হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে ৪৫ শতাংশ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর থেকে এক হাজার ৮০ কোটি টাকা, তথা ৩০ শতাংশ রাজস্ব আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাকি অর্থ সরকারি-বেসরকারি অনুদান ও সহযোগিতা থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্য একটি চ্যালেঞ্জ হলেও, আমরা তা মোকাবিলায় প্রস্তুত। নতুন সৃষ্ট ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকেই ব্যয়ের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ওয়ার্ড সচিব পদবির পরিবর্তে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ বা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’— এই নামগুলোর যেকোনও একটি নির্ধারণে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।